মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) পরিচিতি

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
black

আলহামদুলল্লিাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ।

মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) কুরআনিক ইনস্টিটিউট সিলেট - একটি সেবামূলক অলাভজনক প্রতষ্ঠিান, যা পবত্রি কুরআন মুখস্থ, অনুধাবন এবং তদনুযায়ী আমল করানোর জন্য বিশেষায়িত কুরআনিক মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ কুরআনুল কারমি মুখস্থ করানো, কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াত ও তাফসির শিক্ষা দেওয়া, আল কুরআনের ইজাযাহ ও সনদের ধারাবাহিক পরম্পরা ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার সাথে সাথে রয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাসের অনুকরণে প্রথম শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের সু-ব্যবস্থা।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ইলম হাসিলের মাধ্যমে (খালিক) তথা স্রষ্টাকে জানা, সৃষ্টির উদ্দশ্যে উপলব্ধি করা। মহান আল্লাহর ঘোষণা- ‘ ( হে রাসূল, আপনি বলুন - আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য।’ এ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নিম্নোক্ত লক্ষ্য নির্ধাণ করা হয়েছে।

১) কুরআনের হাফিজের মাঝে ইসলামী আকিদা বিশ্বাস ও মূল্যবোধ সৃষ্টি করা এবং নেতৃত্বের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং কুরআনের ভাষা ও অক্ষর জ্ঞান শিক্ষাদান ও মুসলিম আত্মপরিচয় বিকাশের চেতনা সৃষ্টি করা।

২) বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দাখিল এবং উচ্চ মাধ্যমিক আলিম সার্টিফিকেট অর্জন করার মাধ্যমে কুরআনের হাফিজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্য করে তোলা।

৩) কুরআনের হাফেজকে মসজিদ মাদরাসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুরআনী কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক প্রয়োজন মিটানোর যোগ্য করে গড়ে তোলা।

৪) কুরআনুল কারিমের পাঠদান ও তার জ্ঞান অর্জনের প্রতীক্ষিত সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা দান ও পরামর্শমূলক পরিসেবা প্রদান করা।

৫) কুরআনের সনদ ব্যবস্থাকে বাংলাদেশে পুনরুজ্জীবিত করা এবং এর ভিত্তি তৈরি করা, যা ধারাবাহিক সনদকে মুখস্ত করার মাধ্যমে কুরআনের আমানত রক্ষা করে এমনভাবে পাঠ করা যেভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম তাঁর কাছ থেকে যেভাবে শিখেছেন এবং রিওয়ায়াতের ইমামরা যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন।

৬) কতিপয় এমন দক্ষ হাফিজ তৈরি করা যারা কুরআনের জ্ঞানকে আরবি বাংলা ইংরেজিতে শিক্ষা দিতে পারে।

৭) এমন দাঈ তৈরি করা যিনি পবিত্র কুরআনকে বিষয়ভিত্তিকভাবে মুখস্থ করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ব্যাখ্যা করার যোগ্যতা রাখবেন।

৮) জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দক্ষ হাফিজ ও কারী প্রস্তুত করা।

আমাদের মূল্যবোধ

শরয়ী মূল্যবোধ : মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তার দ্বীনের পূর্ণ অনুকরণ।

নৈতিক মূল্যবোধ : পবিত্রতা ও আমানতদারিতা।

বৈজ্ঞানিক মূল্যবোধ : কৃতিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।

অর্থনৈতিক মূল্যবোধ : উপার্জন ও সঞ্চয়

সামাজিক মূল্যবোধ : নাগরিকত্ব ও সংহতি ।

স্বাস্থ্যগত মূল্যবোধ : নিজেকে সুরক্ষা ও শারীরিক শক্তির সুরক্ষা।

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যসমূহ

১) সর্বোচ্চ ৩ বৎসরের মধ্যে হিফজ সম্পন্ন করার প্রয়াস।

২) হিফজের পাশাপাশি ৭ ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন।

৩) রিওয়ায়েতে হাফস আন-আসিম-এর উপর ইজাযা ও সনদে মুত্তাসিল লাভের সুযোগ।

৪) অর্থসহ বিষয়ভিত্তিক কুরআন মুখস্থ করা।

৫) আন্তর্জাতিক তাহফিজুল কুরআন সংস্থা সৌদি আরব কর্তৃক সনদ প্রদান ।

৬) সর্বাধুনিক প্রযুক্তি – অডিও, ভিডিও - ইউটিউব, টুইটার, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, জুম, গুগলমিট এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাফিজ ও কারিদের থেকে কিরাআত শিখার সুস্ঠু ব্যবস্থা।

৭) উত্তীর্ণদের বিশ্বের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় যথা: মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, আল কুরআন বিশ্ববিদ্যালয়, তায়িব্যাহ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ায় ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান।

৮) কুসংস্কার, শিরক ও বিদআত মুক্ত নিখাদ তাওহীদি আকিদা বিশ্বাস তৈরিতে উন্নত নৈতিক গুণাবলী সৃষ্টির লক্ষ্যে তারবিয়্যাতি কর্মসূচি পালন করা।

৯) উচ্চতর ডিগ্রিধারী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা শিক্ষাদান।

১০) কুরআন-সুন্নাহ, সালফে সালেহিন ও আইম্মায়ে মুজতাহিদিনের এর নীতি ও আদর্শের আলোকে পরিচালিত

১১) প্রবাসী ও চাকরিজীবীদের সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব গ্রহণ।

১২) ব্যায়াম খেলাধুলা সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম আয়োজন।

১৩) আরবি ও ইংরেজি ভাষার উপর চারটি দক্ষতা (বলা, শোনা, লেখা, বোঝা) অর্জনের সুযোগ।

১৪) তারাবিয়্যাহ ও তাযকিয়া বিষয়ে পৃথক কর্মসূচি।

১৫) কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।

১৬) উন্নত আবাসিক ব্যবস্থাপনা।